১৪৩৫ হিজরী সন এর সাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শাবান মাস হচ্ছে প্রতিটি মুসলমানের ইবাদত করার অতি উত্তম সময়। আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ১৪৪৫ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেছে। এর ফলে আগামীকাল সোমবার থেকে শাবান মাস শুরু হবে এবং শবে বরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে।
পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ
- ১৪৪৫ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেছে।
- আগামীকাল সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে।
- শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে শবে বরাত ২৫ ফেব্রুয়ারি।
- শাবান মাস শেষে রমজান মাস শুরু হবে।
- লাইলাতুল বরাতকে ‘ভাগ্য রজনী’ বলা হয়।
- লাইলাতুল বরাতের পরের দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে সরকারি ছুটি।
শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দবার্তা নিয়ে শুরু হয় রমজান মাস। লাইলাতুল বরাতকে ‘ভাগ্য রজনী’ বলা হয়। এই রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। লাইলাতুল বরাতের পরের দিন (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে সরকারি ছুটি।
শাবান মাসের চাঁদ ২০২৪
শবে বরাত মুসলিম উম্মার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রজনী। এই রাতে আল্লাহতা’আলা তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন বলে মনে করা হয়। মুসলমানরা এই রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগি করে থাকেন।
তবে শবে বরাত পালন নিয়ে আলেম-ওলামা ও ধর্মচিন্তাবিদদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কিছু আলেম মনে করেন, এই রাতে বিশেষ কোনো ইবাদতের নির্দেশ নেই। অন্যদিকে, অনেক আলেম মনে করেন, এই রাতে ইবাদত বন্দেগিতে লিপ্ত থাকা উত্তম।
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ইরানসহ কয়েকটি দেশে শবে বরাত ঘটা করেই পালিত হয়। সৌদি আরবে শবে বরাত পালনের কোনো রীতি নেই। ইরানে এই রাতটি শিয়া মাজহাবের দ্বাদশ ইমাম হযরত ইমাম মাহদির জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়।
২০২৪ সালের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ সম্পর্কিত প্রশ্ন ও উত্তর
শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে কি?
১৪৩৫ হিজরী সন এর সাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শাবান মাস হচ্ছে প্রতিটি মুসলমানের ইবাদত করার অতি উত্তম সময়। আজ সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, ১৪৪৫ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ বাংলাদেশের আকাশে দেখা গেছে। এর ফলে আগামীকাল সোমবার থেকে শাবান মাস শুরু হবে এবং শবে বরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে।
শাবান মাস ২৯ নাকি ৩০ দিন?
শাবান মাস ২৯ দিন হবে নাকি ৩০ দিন, তা নির্ভর করে চাঁদের উপর। ইসলামী ক্যালেন্ডার চন্দ্র-ভিত্তিক, তাই প্রতিটি মাস চাঁদের দেখা উপর নির্ভর করে শুরু হয় এবং শেষ হয়।
যদি ২৯ শে তারিখে চাঁদ দেখা যায়:
- তাহলে শাবান মাস ২৯ দিন হবে।
- এবং পরের দিন থেকে রমজান মাস শুরু হবে।
- যদি ২৯ শে তারিখে চাঁদ দেখা না যায়:
- তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন হবে।
- এবং পরের দিন আবারো চাঁদ দেখা হবে।
- যদি পরের দিন চাঁদ দেখা যায়, তাহলে পরের দিন থেকে রমজান মাস শুরু হবে।
- যদি পরের দিন চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে তার পরের দিন থেকে রমজান মাস শুরু হবে।
শাবান মাসের রোজা কয়দিন?
শাবান মাসের রোজা নির্দিষ্ট কোন সংখ্যক নয়। শাবান মাসে কতদিন রোজা রাখবেন তা সম্পূর্ণ আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে।
শবে বরাতের দিন কি হয়?
শবে বরাত হলো শাবান মাসের ১৪ তারিখের রাত। এই রাতকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করে থাকে।
- এই রাতে আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাদের ক্ষমা করেন।
- এই রাতে আল্লাহ তায়ালা ভাগ্যলিপি লিখে থাকেন।
- এই রাতে জান্নাতের দরজা খোলা থাকে।
- এই রাতে বান্দাদের দোয়া কবুল করা হয়।
শবে বরাতের রাতে মুসলমানরা যা যা করে থাকে:
- এই রাতে মুসলমানরা রাত জেগে ইবাদত করে থাকে।
- তারা নফল নামাজ, তেলাওয়াত, দোয়া ও জিকির করে থাকে।
- তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভালো ভাগ্যের জন্য দোয়া করে।
- এই রাতে অনেকে রোজাও রাখে।
- তারা মসজিদে গিয়ে ইবাদত করে এবং খাবার বিতরণ করে।
ইসলামে শাবান মানে কি?
ইসলামে শাবান মাসের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এটি হিজরি বর্ষের অষ্টম মাস এবং রমজান মাসের পূর্ববর্তী মাস। শাবান শব্দের অর্থ হলো “শাখা-প্রশাখা”।
শাবান মাসের ১৫ তারিখে কি হয়?
শাবান মাসের ১৫ তারিখে শবে বরাত পালিত হয়। এটি ক্ষমা ও ভাগ্যলিপির রাত হিসেবে পরিচিত।
রমজান মাসের সূচনা মুসলমানরা কিভাবে নির্ধারণ করে?
মুসলমানরা চাঁদ দেখার মাধ্যমে রমজান মাসের সূচনা নির্ধারণ করে। হিজরি সন হলো চন্দ্র-ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি, তাই প্রতিটি মাস চাঁদের দেখা উপর নির্ভর করে শুরু হয় এবং শেষ হয়।
রমজান মাসের সূচনা নির্ধারণের প্রক্রিয়া:
শাবান মাসের ২৯ তারিখে সূর্যাস্তের পর চাঁদ দেখার জন্য মুসলিমরা আকাশ পর্যবেক্ষণ করে।
যদি চাঁদ দেখা যায়, তাহলে পরের দিন থেকে রমজান মাস শুরু হয়।
যদি চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে শাবান মাস ৩০ দিন হয় এবং পরের দিন আবারো চাঁদ দেখা হয়।
এই প্রক্রিয়াটি ‘তারিখ’ নামে পরিচিত।