শবে মেরাজ: তাৎপর্য, আমল ও ভুল ধারণা
শবে মেরাজ, ইসলামের ইতিহাসে এক অসাধারণ ঘটনা। নবীজী (সাঃ) সশরীরে ঊর্ধ্ব জগতে ভ্রমণ, জান্নাত-জাহান্নাম পরিদর্শন, এবং আল্লাহ তাআলার সাথে কালাম – এই সবকিছু মিলে এই রাতের তাৎপর্য ও মাহাত্ম্য বৃদ্ধি করে।
ঘটনার বিবরণ:
নবুওয়তের ১১তম বছরের ২৭ রজবে এই ঘটনা সংঘটিত হয়।
বোরাকে চড়ে নবীজী (সাঃ) মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে বাইতুল মুকাদ্দাসে ভ্রমণ করেন।
সেখান থেকে জিবরাইল (আঃ) সঙ্গী হয়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেন।
সাত আসমান, সিদরাতুল মুনতাহা, জান্নাত ও জাহান্নাম ভ্রমণ করেন।
আল্লাহ তাআলার সাথে কালাম করেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়।
কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা:
সুরা নাজম ও সুরা ইসরায় মেরাজের বিবরণ বর্ণিত হয়েছে।
বুখারি, মুসলিম, আব দাউদসহ বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থে মেরাজের বিষয়টি বিশুদ্ধ সূত্রে বিস্তারিত বর্ণিত।
শবে মেরাজের আমল:
নবীজী (সাঃ) নিজে এই রাতের কোন বিশেষ আমল করেননি।
সাহাবায়ে কেরামও এই রাতের কোন বিশেষ আমল করেননি।
তাই শবে মেরাজের নামাজ, রোজা বা অন্য কোন বিশেষ আমলের কোন ভিত্তি নেই।
বরং নিয়মিত ফরজ নামাজ আদায়, জিকির, তাসবিহ, গুনাহ থেকে বিরত থাকাই আল্লাহর কাছে পছন্দের।
ভুল ধারণা:
শবে মেরাজের বিশেষ নামাজ ও রোজা রাখা।
এই রাতে বিশেষভাবে জান্নাত ও জাহান্নামের কথা মনে করা।
এই রাতে বিশেষভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
শবে মেরাজ ইসলামের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। তবে এই রাতের কোন বিশেষ আমলের ব্যাপারে সচেতন থাকা জরুরি। নিয়মিত ইবাদত ও সৎকর্মের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব।