Breaking News

শবে মেরাজের তাৎপর্য ও গুরুত্ব | Sobe Meraj 2024


লাইলাতুল মেরাজ – ইসলামের ইতিহাসে এক অসাধারণ ঘটনা। নবীজী (সাঃ) সশরীরে ঊর্ধ্ব জগতে গমন, সেই রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়া, জান্নাত-জাহান্নাম ভ্রমণ – এই সবকিছু মিলে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য বৃদ্ধি করে।

ঘটনার বিবরণ:

নবুওয়তের ১১তম বছরের ২৭ রজবে এই ঘটনা সংঘটিত হয়।
নবীজী (সাঃ) সশরীরে ও জাগ্রত অবস্থায় মেরাজ করেছিলেন।
পবিত্র কোরআনের সুরা নাজম ও সুরা ইসরায় মেরাজের বিবরণ বর্ণিত হয়েছে।
বুখারি, মুসলিম, আব দাউদসহ বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থে মেরাজের বিষয়টি বিশুদ্ধ সূত্রে বিস্তারিত বর্ণিত।

কোরআনের বর্ণনা:

সুরা নাজমে আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে মেরাজের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
জিবরাইল (আঃ) নবীজী (সাঃ) কে জান্নাতুল মাওয়া ও সিদরাতুল মুনতাহা পর্যন্ত নিয়ে যান।
নবীজী (সাঃ) আল্লাহর অগণিত নিদর্শন প্রত্যক্ষ করেন।
সমাজে প্রচলিত আমল:

শবে মেরাজ উপলক্ষে কিছু নামাজ ও রোজা প্রচলিত আছে।
মসজিদে মিম্বর থেকে মেরাজের রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিস বর্ণিত হয়।
তবে, এই রাতের কোনো নির্দিষ্ট নামাজ বা ইবাদত শরীয়তে সাব্যস্ত নয়।
নবীজী (সাঃ) বা সাহাবিরা এই রাতে বিশেষ কোনো আমল করার নির্দেশ দেননি।
মুমিনগণ নিজ পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো নেক আমল করতে পারেন।

রোজা রাখার বিধান:

শবে মেরাজ উপলক্ষ্যে রোজা রাখার কোনো বর্ণনা কোরআন-হাদিসে নেই।
নবীজী (সাঃ) বা সাহাবিরা এই দিনে বিশেষভাবে রোজা রাখেননি।
তাই, শবে মেরাজ উপলক্ষ্যে রোজা রাখা ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না।
শিক্ষা:

মেরাজের ঘটনা আল্লাহর অসীম ক্ষমতার প্রমাণ।
নবীজী (সাঃ) এর উচ্চ মর্যাদার প্রতি আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
ফরজ নামাজ পালনের গুরুত্ব।
ধারাবাহিক ইবাদতের গুরুত্ব।
সুদ, ঘোষ, মিথ্যা বলা থেকে বিরত থাকা।
নিয়মিত নামাজ, জিকির, তাসবিহ, গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা – এই সবকিছুই আল্লাহর কাছে পছন্দের।

মেরাজের মাধ্যমে নবীজী (সাঃ) আল্লাহর অশেষ ক্ষমতা ও মহত্ত্বের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। নবীজী (সাঃ) এর উচ্চ মর্যাদা ও আল্লাহর নিকটতম বান্দা হিসেবে তার মর্যাদা প্রমাণিত হয়।

Check Also

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ [ছন্দ, কবিতা, ইতিহাস]

ভালোবাসা দিবস অথবা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন দিবস হলো প্রতি বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি প্রচলিত একটি উৎসব। এটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *