২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হতে যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের ২ তারিখ থেকে. এবারও দ্বিতীয় পর্ব আকারে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা. বিশ্ব ইজতেমা এবার আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে এবং তাবলিগ জামাতের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সম্মিলনের এ আয়োজন আগের বারের মতোই হবে দুই পর্বে।
বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব
গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ তীরে প্রতিবারই বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে থাকে। তাই এবারও ২ ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এবং প্রথম পর্বে ইজতেমা হবে ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি হবে। আপনারা যারা অংশগ্রহণ করবেন বিশ্ব ইজতেমায় তারা অতিসত্বর পৌঁছাতে পারেন।
বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব
২০২৪ সালের বিশ্ব ইজতেমা দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি।
বিশ্ব ইজতেমা বা বিশ্ব ইজতিমা, সাধারণত বৈশ্বিক যেকোনো বড় সমাবেশ, কিন্তু বিশেষভাবে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক বৈশ্বিক সমাবেশ। প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জোবায়ের পক্ষের অনুসারীরা এবং দ্বিতীয় পর্বে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা অংশ নেবেন। বুধবার সচিবালয়ে উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ইজতেমা শুরুর তারিখ জানান।
২০২৪ সালে বিশ্ব ইজতেমা সম্পর্কে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন,
গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাবলিগ জামাতের বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর থেকে ইজতেমা হচ্ছে দুই পর্বে আলাদাভাবে।
কোভিড মহামারীর কারণে দুই বছর বিরতির পর ২০২২ সালে ১৩ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল প্রথম পর্ব। পরে সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা ইজতেমা করেন ২০-২২ জানুয়ারি। আগে এক মঞ্চ থেকে একবারই বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হতো।
কিন্তু মাওলানা জোবায়ের এবং মাওলানা সা’দ পক্ষের অনুসারীরা এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিভেদে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ বিশ্ব ইজতেমা দুইবারে করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইজতেমায় দেশি-বিদেশি লাখ লাখ মানুষের যোগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
“আমরা দেখেছি ইজতেমা দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়েই দুই গ্রুপকে দুই সময়ে করতে দেওয়া হয়। প্রতিবারই কে আগে করবেন, কে পরে করবেন সেই সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেন না, আমাদের কাছে দৌড়ে আসেন।
“আমরা বলেছিলাম আপনারা এক হয়ে আমাদের বলেন। তারা একমত না হতে পারায় আমরা তাদের গতবারের মতো করে করতে বলেছি।”
প্রতি বছরই কেন ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ করে দিতে হয়, সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “তারা একত্র হতে পারছেন না। দুইজন এক প্লেটে ভাত খাওয়া মানুষ, একের পেছনে আরেকজন নামাজ পড়েন তারা।
কিন্তু যখন এই প্রসঙ্গগুলো আসে তখন মারমুখী হয়ে যায়। তিনটি মার্ডার হয়েছিল, ভুলে যাননি, দেড়শ আহত হয়েছিল, ভাংচুর হয়েছিল, সেইজন্য আমরা কোনো রিস্ক নিতে চাই না।”
কামাল বলেন, ইজতেমায় বিদেশিরা কিভাবে আসবেন পরে সে বিষয়ে বিস্তারিত সভা হবে। বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, সচিবসহ অন্যরা বসে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন।
“আরেকটি দাবি তারা করেছিলেন, মসজিদে মসজিদে যেন কোনো গ্রুপ প্রাধান্য না পায়, সবাই মিলে মিশে কাজ করতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এটি চিঠি দিয়ে সব মসজিদে জানিয়ে দেবেন। দ্বীনের দাওয়াতে এক গ্রুপ যাওয়ার পর আরেক গ্রুপ যেতে পারবেন, মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ থাকবেন।”
ইজতেমা আয়োজনে এখনও যেসব সিদ্ধান্ত অমীমাংসিত আছে সেগুলো নির্বাচনের পর আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে দেওয়া হবে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।