সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে চালু চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য তিন দিনব্যাপী একটি শিক্ষাক্রম প্রসার প্রশিক্ষণ সেশন শুরু হয়েছে। এর আগে, শিক্ষকরা মুক্তপাঠ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। অনলাইনে প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর, এখন জাতীয় শিক্ষাক্রম প্রসার বিষয়ে ইউআরসি ইন্সট্রাক্টরদের দ্বারা পরিচালিত অফলাইন প্রশিক্ষণ সেশন চলছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এই প্রশিক্ষণের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। নির্দেশিকাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিক্ষকদের জন্য বিস্তার প্রশিক্ষণ ২০২৩ শুরু হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে, এবং প্রয়োজনীয় অর্থের বরাদ্দ ইতোমধ্যে সুরক্ষিত করা হয়েছে। পূর্বে ১৪ সেপ্টেম্বর ইস্যু করা নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে, বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ পরিচালনা করতে বিশেষ অনুরোধ জানানো হয়েছে
জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ ২০২৩
আপনার প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০২৩ সালের জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ একটি নির্ধারিত শিডিউল ও নিয়মাবলি অনুসারে পরিচালিত হবে। এই প্রশিক্ষণের লক্ষ্য হলো শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান প্রদান করা এবং তাদের শিক্ষা পদ্ধতিতে এটি সফলভাবে অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা।
এই প্রশিক্ষণের কিছু প্রধান নির্দেশিকা নিম্নরূপ:
প্রশিক্ষণ সপ্তাহের শেষের দুই দিন, শুক্র ও শনিবার চলবে। শুধুমাত্র সরকারি ঘোষিত ছুটির দিনগুলিতে প্রশিক্ষণ বন্ধ থাকবে।
প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত সূচি এবং বাজেট যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিন সকাল ৮:৩০ ঘটিকায় প্রশিক্ষণ স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপস্থিত হতে হবে। প্রশিক্ষণ সকাল ৯:০০ টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত চলবে।
নতুন শিক্ষাক্রম বিস্তরণ বিষয়ক ম্যানুয়াল ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১ (প্রাথমিক স্তর)’ এর অনলাইন প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট প্রাপ্তি অত্যাবশ্যক।
প্রতি শিক্ষককে একটি সফল প্রশিক্ষণ সমাপ্তির জন্য অবশ্যই উপস্থিতি এবং অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষকদের নিজ নিজ শিক্ষানবিশী বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান ব্যবহার করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারগণকে প্রশিক্ষণের মান এবং প্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।
এই নির্দেশিকাগুলি অনুসরণ করে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হলে শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম সম্পর্কে বুঝ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে যা শিক্ষার মান উন্নতির লক্ষ্যে সাহায্য করবে।
আপনার প্রদত্ত তথ্য মূলত কোনো শিক্ষামূলক প্রশিক্ষণ আয়োজন ও পরিচালনার নির্দেশিকা মনে হচ্ছে। এখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে:
- একাধিক ব্যাচে প্রশিক্ষণ আয়োজন: সুবিধা থাকলে একই সময়ে বেশি সংখ্যক ব্যাচে প্রশিক্ষণ চালানো সম্ভব।
- প্রশিক্ষকের ব্যবস্থাপনা: একজন প্রশিক্ষকের পরপর দুই ব্যাচে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব যদি প্রশিক্ষক স্বল্পতা দেখা দেয়।
- মনোনয়নে অনিয়ম: যদি মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় কোনো অনিয়ম ঘটে, তার জন্য মনোনয়নকারী কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন।
- কো-অর্ডিনেটর ও সহায়ক কর্মকর্তার ভূমিকা: কো-অর্ডিনেটর ও সহকারী ইন্সট্রাক্টর তাদের নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করবেন, এবং প্রশিক্ষণের দায়িত্ব পালন করলে তারা কেবল সম্মানীর অংশ পাবেন।
- প্রশিক্ষণ মনিটরিং: প্রশিক্ষণ মনিটরিং ও মেন্টরিং গাইডলাইন অনুযায়ী যেকোনো সময়ে প্রশিক্ষণ পরিবীক্ষণ করা হবে।
- মূল্যায়ন ও সনদপত্র: প্রশিক্ষণ শেষে মূল্যায়ন করা হবে এবং প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর সনদপত্র দেওয়া হবে।
এই দিকনির্দেশনা সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ নীতি বা প্রশিক্ষণের মান বজায় রাখার জন্য দেওয়া হতে পারে। তবে, এটি প্রশিক্ষণের সামগ্রিক মান বজায় রাখতে এবং প্রশিক্ষণের লক্ষ্য অর্জন করতে কার্যকর নির্দেশিকা হিসেবে কাজ করবে।