প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা ২০২৩

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (পিএসডি) কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা 2023 সরকার দ্বারা জারি করা হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কি?

উত্তরঃ নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্দেশ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক গঠিত মেডিকেল বোর্ড বা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে নির্ধারিত মেডিকেল অফিসার বা অন্যান্য নির্ধারিত মেডিকেল পেশাদার ব্যক্তি এই পরীক্ষা পরিবর্তন না করেন যে, উক্ত ব্যক্তি স্বাস্থ্যগতভাবে পদে নিয়োগযোগ্য এবং দেহের কোনও স্বাভাবিক অস্থিরতা অথবা শারীরিক দুর্বলতা অথবা যেকোনো দৈহিক সমস্যা না থাকে, যা সংশ্লিষ্ট পদে কোনও সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবং নিয়োগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তির পূর্ব কর্মক্ষমতা প্রদর্শন না করেন।

কোনো ব্যক্তিকে কোনো পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হবে না, যদি তিনি— (ক) উক্ত পদের জন্য কমিশন কর্তৃপক্ষ বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃপক্ষ বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দ্বারা আহ্বান দেওয়া গিয়ে উল্লিখিত ফি বা অন্যান্য ফরম ও নির্দিষ্ট তারিখে দাখিল না করেন এবং সরকারি চাকরি বা কোনও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাকরিতে নিয়োজিত থাকার সময়ে নিজের ব্যক্তিগত যোগ্যতা না প্রদর্শন করেন।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন প্রাপ্ত করার পর, যেকোনো ব্যক্তি নিয়োগ প্রাপ্ত করলে সে নিয়োগে নতুন নিয়োগ হিসাবে গণ্য হবে এবং তার পূর্বের চাকরিকাল শুধু পেনশন এবং বেতন সংরক্ষণে ব্যবহার করা হবে, এবং তার যেকোনো বৃদ্ধি বা অন্য আর্থিক সুবিধা গণনায়োগ্য হবে না।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ মোতাবেক পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগের ক্ষেত্রে এটি উল্লিখিত হয়েছে যে, সরকার দ্বারা গঠিত সম্প্রেষণ বা নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগ করা হবে। তবে, শর্ত থাকে যে, ১৫-১৪ গ্রেডের কোন পদ হলে ১২-১১ গ্রেডের কোন পদে কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগ করা হবে।

২০২৩ সালে ডিপিই সরাসরি নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, স্থায়ী নিয়োগের শেষ তারিখ হতে হবে ২ (দুই) বছর, আবার পদোন্নতির ক্ষেত্রে এইরূপ নিয়োগের শেষ তারিখ হতে হবে ১ (এক) বছর। তবে, শর্ত আছে যে, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কারণে শিক্ষানবিশের মেয়াদ বাড়াতে পারে, তবে মেয়াদ বাড়তে পারবে না ২ (দুই) বছরের বেশি।

যদি নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ মন্য না হয় যে, শিক্ষানবিশের কর্ম ও আচরণ সন্তোষজনক না হয়, বা তার কর্মদক্ষতা সন্তোষজনক না হয়, তাহলে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশের চাকরি শেষ করে দেওয়া যেতে পারে; আবার পদোন্নতির ক্ষেত্রে, প্রদানকৃত পদে প্রত্যাবর্তন করানো যেতে পারে যেটি পদোন্নতির সময় প্রদান করা হয়েছিল। শিক্ষানবিশের মেয়াদ বাড়তে যখন সম্পূর্ণ হয়, নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ – যদি এই দিকে সন্তুষ্ট হয় যে, শিক্ষানবিশের মেয়াদের সময়ে কোনো কর্ম ও আচরণ সন্তুষ্টকর,

তাহলে সময়ের মধ্যে উপ-ধারা (৪) অনুসারে তাকে স্থায়ী চাকরিতে স্থায়ী করতে হতে পারে এবং স্থায়ী পদের বিপরীতে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাকরিতে যোগদান করাতে হবে; আবার, যদি বিবেচনা করে যে, উক্ত মেয়াদে শিক্ষানবিশের কর্ম ও আচরণ সন্তুষ্টকর নয়, তাহলে উক্ত কর্তৃপক্ষ (অ) সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে, তার চাকরি শেষ করে দেওয়া যেতে পারে এবং (আ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, যে পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল সেই পদে প্রত্যাবর্তন করানো যেতে পারে।

কোনো শিক্ষানবিশকে কোনো নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হতে পারে না, যতক্ষণ না সরকারি আদেশ দেয়, সময় সময়, এমন পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয় যেখানে তিনি উত্তীর্ণ করে এবং প্রশিক্ষণ নেয়। তবে, শর্ত আছে যে, যেহেতু সকল কর্মচারীর বয়স ৫০ (পঞ্চাশ) বছরের বেশি হলে, সম্পূর্ণ হওয়ার ১ (এক) বছরের মধ্যে উক্ত পদের শিক্ষানবিশের শেষ করে দেওয়া যাবে না।

কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়?

এই উদ্দেশ্যে, সরকার কর্তৃপক্ষ তৈরি করে বিশেষ নির্বাচন কমিটি, এবং এই কমিটির সুপারিশের আধারে কোন পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়। তবে, একটি শর্ত আছে যে, চাকরি (বেতন এবং ভাতা সহ) আদেশ ২০১৫ এর ১৩-১৬ গ্রেডের পদ থেকে ১০-১২ গ্রেডের পদে, এবং ১০-১২ গ্রেডের পদ থেকে ৯ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের পদে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতি করা যাবে। যদি কোন ব্যক্তির চাকরির কর্মচারী ইতিহাস সন্তোষজনক না হয়, তাহলে তাকে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের জন্য যোগ্য বলা হবে না। অস্থায়ী পদে অস্থায়ীভাবে পদোন্নতি দেওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট পদ যে তারিখে স্থায়ী হবে সেই তারিখে উক্ত ব্যক্তির পদোন্নতি স্থায়ী হবে।